স্বপ্নদোষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এটি কোন শারীরিক সমস্যা নয়। এটি প্রজননক্ষম জীব হিসেবে মানব প্রজাতির স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার একটি অংশ। বয়ঃসন্ধিকালে দেহের যৌন বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ধনের ফলাফলস্বরূপ এটি ঘটে থাকে। স্বপ্নদোষ সঙ্ঘটনের ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে স্থান ও বয়সভেদে ব্যাপক বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। কিছু পুরুষ দাবি করেন যে তারা যে সময়কালটিতে সঙ্গম অথবা স্বমেহন কোনভাবেই যৌনকর্মে সক্রিয় হন না, কেবল তখনই এটি ঘটে থাকে। কিছু পুরুষ তাদের বয়ঃসন্ধিকালে বা উঠতি কৈশোরে বহুসংখ্যকবার স্বপ্নদোষের সম্মুখীন হয়েছেন, আর বাকি পুরুষদের জীবনে একবারও এটি ঘটেনি। যুক্তরাষ্ট্রে, ৮৩% পুরুষ জীবনে কোন না কোন সময়ে স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। বয়ঃসন্ধিকালে যারা নতুনভাবে স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেন তারা অনেকেই প্রথমদিকে একে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না এবং আতঙ্ক ও হীনম্মন্যতা বোধ করেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বপ্নদোষের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এছাড়াও স্বপ্নদোষ হতে নানা কারণে পারে, যেমনঃ মুখ্য কারণঃ

  • বয়ঃসন্ধিকালে যৌন হরমোনের আধিক্যের জন্য

গৌণ বা অনিশ্চিত কারণঃ

  • স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত যৌন বিষয়ক চিন্তা করা
  • পর্ণগ্রাফি বা নীল ছবিতে আসক্ত হওয়া
  • যৌন উদ্দীপক বই পড়া
  • শয়নকালের পূর্বে যৌন বিষয়ক চিন্তা করা বা দেখা

বয়ঃসন্ধিকালে কারো কারো স্বপ্নদোষ নাও হতে পারে , এতে এটা প্রমাণ করে না যে তার সমস্যা আছে। আবার নিয়মিত হস্তমৈথুনের প্রভাবে স্বপ্নদোষের পরিমাণ হ্রাস পায়। স্বপ্নদোষের সাথে সবসময় স্বপ্ন দেখার সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। যেহেতু স্বাভাবিক নিয়মিত স্বপ্নদোষ কোন সমস্যা নয়, তাই এর কোন চিকিৎসা নেই। তবে অস্বাভাবিক বা অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের ব্যাপারে চিকিৎসকগণ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কলিকাতা হারবাল
01313984747